কমার্স এর Accounting এ যারা পড়ালেখা করে তাদের মন মানসিকতা পুরাই ভিন্ন
#ব্যবসায়_শিক্ষা
কমার্স এর Accounting এ যারা পড়ালেখা করে তাদের মন মানসিকতা পুরাই ভিন্ন।
শিক্ষাই আলো-All Tutorial365
আপনি যত না বিজ্ঞান এবং মানবিক শাখার স্টুডেন্টদের দেখবেন তারা হয়ত পড়ালেখার ক্ষেত্রে খুব সিরিয়াস ভাব দেখায়।
বিজ্ঞান শাখার স্টুডেন্টরা ভাবে তাদের স্টাডি খুব কঠিন, আমরাই- সেরা।
মানবিক শাখার স্টুডেন্টরা ভাবে যে-
আমরা কত কিছুর কথা মনে রাখতে হয়-তাই আমরাই সেরা।
কখনো কমার্সের স্টুডেন্টরা বলে না আমরাই সেরা।
বিশেষ করে Accounting এর Student রা এই সব এর ধারে কাছে যায় না কারণ তারা জানে ফলে ই পরিচয়।
ক্লাস ৯ম থেকে একজন কমার্সের স্টুডেন্টের যাত্রা শুরু এবং অনার্স পর্যন্ত সে তার মত করে পড়তে পারে। তার স্টাডির সাথে একটা কথাই জড়িত সেটা- Accounting-হিসাব। তার জীবনে কিছু মিলুক আর না মিলুক তাকে তার অংকের হিসাব যেমন করেই হোক মিলাতেই হবে।
পড়তে বসলে কিভাবে একটা অংকের পিছনে কত সময় চলে যায় সেটা তার অজানা। হিসাব যে তাকে মিলতেই হবে- না হলে ক্যালকুলেটরে হাজার বার টেবিলের সাথে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। তার যে রাতের ঘুম হারাম-হয়ে যায়।
ঘুমের মধ্যে তার যে হিসাব মিলানো শুরু হয়ে যায়। তবুও তার হিসাব মিলানো বাদ হয় না।
কমার্সের Accounting এর স্টুডেন্টরা LOVE বলতে জানে- sells থেকে purchase বাদ দিয়ে যেটা থাকে সেটাই Love। অথবা, Love বলতে বুঝে L+OE = A তাই সত্যিকারের ভালবাসা তাদের মনে বেশী বাসা বাঁধতে পারে না।
তাদের সকাল-বিকাল হিসাব মিলাতে sir কাছে দৌড় ঝাপ করতে গিয়ে Love কে hide করে Equation আর Result নিয়ে Busy থাকতে হয়।
তাই আপনি চাইলেও Accounting এর কোন মেয়ে বা ছেলের মনে সহজে ঠুকে প্রেম করতে পারবেন না।
অবশ্য তাদের মনে যে আবেগ নেই তা নয়। তাদের ভালবাসা- ক্যালকুলেটরে লুকিয়ে থাকে। সারা রাত ক্যালকুলেটরের সাথে প্রেম চলে। আবার সকাল হলে Sir এর কাছে গিয়ে হিসাব মিলাতে ব্যস্ত।
অনেক অবুঝরা ভাবতে পারে- Accounting এ পড়া সেটা তো যোগ-বিয়োগ কিংবা শুধু ডে. ক্রে.। কিন্তু অর্থমন্ত্রনালয়, বাজেট থেকে দুদক, কর্পোরেট টেক্স থেকে ডাকটিকেট, অর্থনীতি, সকল ধরণের প্রতিষ্ঠানের হিসাব ও উৎপাদন ব্যয়, শেয়ার বাজার সব কিছু চুলচেরা চিপাগুলো এ্যাকাউন্টেন্টরাই ভালো বুঝে, তাদের বুঝতে হয় তাদের পড়তে হয়। কারণ তারাই সরকারকে টেক্স আর ভ্যাট বুঝিয়ে দেয়, দুদকে ব্যাক্তির গোপন সম্পদের লুকানো তথ্য বের করে দেয়, তাদের হিসাবেই বের হয়ে আসে বড় বড় কর্পোরেট কোম্পানিগুলোর আয়কর ফাঁকির হিসাব। আবার তারাই প্রতিষ্ঠানকে তার প্রকৃত আয় নির্ণয় করে দেয়। এটা যারা যোগ বিয়োগ ভাবে তাদের জন্য সমবেদনা। হিসাববিজ্ঞানের প্রফেশনাল ডিগ্রি সিএ অর্জন করতে গিয়ে কত যুবক যুবতি যৌবনের স্বাদ টাচ করা সুযোগ পায়নি তা শুধু সিএ ফার্মের আর্টিকেলরাই বুঝবে যে সিএ ফার্ম নামক কারাগারের অর্থ কি?। অথচো, তারপরও ১৯৭২ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩৭ বছরে সরকার ১৭০০ জনেরও কম আর্টিকেলকে সিএ ডিগ্রি দিয়েছে। তবে সিএ যারা ফেল করে তারাও ৬০০০০+ স্টার্টিং স্যালারি পায়। অথচো, এর ফাকেই হারিয়ে যায় অনেক কিছু।
আসলে হিসাববিজ্ঞানের অংকগুলোর পিছনে যে কতটা সময় নষ্ট হয় সেটা অন্যান্য Department এর Student দের বুজানো মুশকিল।
ম্যানশন করুন আপনার হিসাববিজ্ঞানে পড়া বন্ধুদের।
ভালো থাকুক হিসাববিজ্ঞানের পোলাপানরা।
কোন মন্তব্য নেই